১৯৮৬ বিশ্বকাপে শেষবার আর্জেন্টিনাকে উল্লাসে ভাসিয়েছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। এরপর ১৯৯০ সালে দলকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে গিয়েছিলেন আরো একবার। তবে বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি ম্যারাডোনা। তাতে অবশ্য ফুটবল ঈশ্বর হতে অসুবিধা হয়নি ম্যারাডোনার।
এরপর বেঁচে থাকা অবস্থায় আর্জেন্টিনার তৃতীয় শিরোপা দেখার ইচ্ছা ছিল তার। তবে পেরে উঠেননি। সেই ম্যারাডোনাকে ছাড়াই প্রথমবার বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় কাতারে। যেখানে তার উত্তরসূরিরা উঁচিয়ে ধরে তৃতীয় শিরোপা। ম্যারাডোনা থাকলে হয়তো বুক চাপরে চিরচেনা ভঙ্গিতে গ্যালারিতে বসে উল্লাসে মাততে দেখা যেত তাকেও।
ম্যারাডোনা থাকলে কতটা খুশি হতেন তিনি। মেসির হাতে একটি বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে কতটা উদযাপনে মাততেন তিনি সেটি জানিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে।
মেসিকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘নিশ্চিত করেই ডিয়েগো এখন হাসছেন। ’
বিশ্বকাপ চলাকালে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে পেলেকে। এমনকি সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’–এ রাখা হয়েছিল তাঁকে। আর্জেন্টিনা টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪–২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পর পেলে লিখেছেন, ‘আজ ফুটবল তার নিজের গল্প বলছে। আর এটা সব সময়ের মতোই চিত্তাকর্ষকভাবে। ’
এখানেই থামেননি পেলে। এরপর তিনি যোগ করেছেন, ‘মেসি তার প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছে। এটা তার প্রাপ্যই ছিল। অভিনন্দন আর্জেন্টিনা! নিশ্চিত করেই ডিয়েগো এখন হাসছেন। ’
পেলে কিলিয়ান এমবাপ্পের কথাও লিখেছেন। বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় খেলোয়াড় হয়েছেন এমবাপ্পে। এর আগে ২০১৮ সালে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতাতে ফাইনালে করেছিলেন এক গোল।
এমবাপ্পের প্রশংসা করতে গিয়ে এর সবই টেনে এনেছেন পেলে, ‘আমার প্রিয় বন্ধু, এমবাপ্পে, ফাইনালে চার গোল করেছে। আমাদের খেলাটির দর্শনীয় এই ভবিষ্যৎকে দেখাটা ছিল অসাধারণ এক ব্যাপার। ’ পেলে এরপর অভিনন্দন জানিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলা মরক্কোকেও।